লোহাগড়া নবগঙ্গা নদীতে কোন একদিন নদীর কানায় কানায় পানি, ঢেউয়ের দোলায় দোলায় মাঝিরা পাল উড়াইয়া মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে পাল উড়াইয়া যেত। স্টিমার, লঞ্চ দাড়টানা নৌকা সহ জেলেদের অগনিত বড় বড় নৌকা নিয়ে মাছ ধরার কলাহল ছিল অন্যতম। মাছ ধরা ছিল তাদের নিত্যদিনের পেসা। কিন্তু আজ সেটা বিলুপ্তি। ○বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বাংলাদেশের নদ নদী গুলি পূর্ন সংস্কারের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে , এবং তা বাস্তবে বাস্তবায়ন করার কার্যক্রম অব্যাহত।বাংলার মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবে বলে জানান নদী উপকুল বাসিরা । ○কিন্তু কিছু কিছু অসাধু মানুষ উক্ত নদী খননের মাটি নদীর পাড় থেকে বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নদীর পাড়ে বসবাসরত স্থানীয় জনগণ বলেন যে সারা রাত মাটি বহন কৃত গাড়ির আওয়াজে আমাদের রাতের ঘুম হারাম। রাস্তাঘাট মাটি টানার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে। সাধারন জনগন চলার মতো কোনো রাস্তা নেই। ○গাড়ির বিকট আওয়াজে বাচ্চা ও বৃদ্ধ মহিলারা ভীষণ ভাবে কেঁপে কেঁপে ওঠে, কিন্তু এটা দেখার মত কেউকি নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনগণ ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন মাটি গুলি অবৈধ ভাবে বিক্রি করছে ওরা । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আব্দুর রাজ্জাক মৃধার ছেলে আজাদ মৃধা গ্রাম: পার মল্লিকপুর থানা, লোহাগড়া জেলা:নড়াইল নামের লোকটি চেয়ার টেবিল নিয়ে নদীর পাড়ে বসে অবৈধ ভাবে নদীর পাড়ের মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এলাকাবাসীরা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কে আপনারা এই অবৈধ মাটি বিক্রি হওয়া টা বন্ধ করুন। আমাদের কে রাতে একটু নিরিবিলি ঘুমাতে দিন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।